পৃথিবী এখনও রহস্যে ভরা। ভূমিকম্পের আলো থেকে শুরু করে পাল তোলা পাথর পর্যন্ত, অগণিত প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটেছে আমাদের এই পৃথিবীতে, এমনই কয়েকটি ঘটনা নিয়ে আজকের আয়োজন, তো চলুন শুরু করি আজকের ব্লগ 



The Morning Glory Clouds বা মর্নিং গ্লোরি মেঘ

রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের পাইলটরা প্রথম এই ঘটনাটি 1942 সালে রিপোর্ট করেছিলেন। প্রাচীনকাল থেকেই এখানে অস্বাভাবিক মেঘের গঠন লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় Garrawa আদিবাসী মানুষ এটা kangólgi বলে।  

কার্পেন্টারিয়া উপসাগরের মর্নিং গ্লোরি মেঘ 1970 এর দশকের গোড়ার দিক থেকে বিজ্ঞানীদের একাধিক দল দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত বার্কটাউন থেকে মর্নিং গ্লোরি মেঘ দেখা যায়। ২০১২ সালের মৌসুমে সেখান থেকে মাত্র চারটি গ্লোরি মেঘ দেখা যেত কিন্তু বেশ কয়েকটি অস্পষ্ট মেঘের রেখা দেখা যায়। 

মর্নিং গ্লোরি ক্লাউড হল রোল ক্লাউড বা আর্কাস ক্লাউড , যেটি 1,000 কিলোমিটার বা 620 মাইল পর্যন্ত লম্বা হতে পারে, এবং 1 থেকে 2 কিলোমিটার উঁচু হয় , প্রায়শই মাত্র 100 থেকে 200 মিটার  মাটির উপরে দেখা যেত।এই  মেঘ প্রায় 10 থেকে 20 মিটার প্রতি সেকেন্ডে ভ্রমণ করে।] কখনও কখনও কেবল একটি মেঘ থাকে, এবং কখনও কখনও টানা দশটি রোল মেঘ থাকে।

 মর্নিং গ্লোরি মেঘ পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় না কারণ এর বিরলতা মানে বৃষ্টি বা জলবায়ুর দিক থেকে এর গুরুত্ব কম। মর্নিং গ্লোরি সংঘটিত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল সমুদ্রের বাতাসের সাথে যুক্ত মেসোস্কেল প্রচলন যা উপদ্বীপ এবং উপসাগরে বিকশিত হয়। বড় আকারের, মর্নিং গ্লোরিগুলি সাধারণত মধ্য অস্ট্রেলিয়া  অতিক্রম করে ফ্রন্টাল সিস্টেম এবং উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ চাপের সাথে যুক্ত থাকে 

যদিও কার্পেনটারিয়া উপসাগরের দক্ষিণাংশে মর্নিং গ্লোরি মেঘগুলি সবচেয়ে ঘন ঘন দেখা যায়, এ ছাড়াও আরও অনেক জায়গায় এই মেঘ দেখা গেছে .   



The Blood Rain

আকাশ থেকে লাল রঙে রঙিন রক্তবৃষ্টি ঝরছে.. এ যেন ভৌতিক সিনেমার কোনও দৃশ্য। কিন্তু আসলে সিনেমা নয়, সত্যিই আকাশ থেকে নেমে আসা রক্তবর্ণের বৃষ্টিধারায় ভিজে গেল সাইবেরিয়ার একটি অঞ্চলের পথঘাট। ভারত, শ্রীলঙ্কা, সাইবেরিয়াসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে এরকম লাল রঙের বৃষ্টি ঝরেছে। এ ধরনের লাল রঙের বৃষ্টিকে ব্লাড রেইন, রেড রেইন বলা হয়। বাংলায় যাকে বলা যায় রক্তবৃষ্টি। এ ধরনের বৃষ্টির সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ভারতের কেরালায়। ২০০১ সালের ২৫ জুলাই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমন একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কেরালাবাসি। কেরালার লোকজন দিনের পর দিন লাল বৃষ্টি দেখেছিল। আকাশের দিকে তাকানোর পর মনে হচ্ছিল কেউ বুঝি আকাশের পেট চিরে দিয়েছে। হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বহু মানুষ ভয় পেয়ে যায়। যদিও এর আগেও মাঝে সাঝে এই লাল বৃষ্টি দেখা গেছে। ১৯৮৬ সালে প্রথম এই বৃষ্টি সবার নজরে আসে। কিন্তু তা খুবই অল্প ছিল। বহু মানুষের জামা কাপড়ে সেই লাল বৃষ্টির ছোপ ছোপ দাগ পড়েছিল। সর্বশেষ রেকর্ড অনুযায়ী ২০১২ সালেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। অসংখ্য ব্যাখ্যার পর অনেকের বিশ্বাস এই বৃষ্টিতে ভিনগ্রহীদের হাত আছে। অনেকে আবার একে নেহায়েতই প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে কেরালার রক্ত বৃষ্টি পৃথিবীর অন্যতম অমীমাংসিত রহস্য হয়েই থেকে গেছে।



The Great Blue Hole

গ্রেট ব্লু হোল অবস্থিত ক্যারিবিয়ান দেশ বাহামায়। বাহামার বিলিজ শহরের ৬০ মাইল পূর্বে লাইট হাউস রিফে অবস্থিত এই ব্লু হোলগুলো। ব্লু হোলগুলো মূলত একটি বিশাল কেভ নেটওয়ার্কের প্রবেশদ্বার। পুরো বাহামার নিচেই বিস্তৃত পানির এই বিশাল কেভ নেটওয়ার্ক। অনেক ব্লু হোল তো প্রায় ১৪ কিলোমিটার মোটা। ব্লু হোলের পানি বেশ নীল,যার কারণে সমুদ্রের সবুজাভ পানি থেকে এটিকে সহজেই আলাদা করা যায়। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র গর্ত ধরা হয়। এর আকৃতি বৃত্তাকার, ব্যাসার্ধ ৩০০ মি. ( ৯৮৪ ফুট) এবং ১২৪ মিটার (৪০৭ ফুট) গভীর। এগুলো দিয়ে ডাইভাররা হোলের ভেতর গিয়ে নেটওয়ার্ক ঘুরে ঘুরে দেখে এসেছে আজব এক দুনিয়া। হোলের ভেতর পুরো আলাদা একটা জগৎ চলছে। সেখানে যে কত আজব আজব প্রাণী আছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই! এমনও অনেক জলজ প্রাণীর সেখানে পাওয়া গেছে, যেগুলোর খোঁজ বিজ্ঞানীরা এখানেই প্রথম পেয়েছে। এখনো চলছে নতুন প্রাণী খোঁজার প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হলো, এই আজব পানির দুনিয়া কিভাবে তৈরি হলো। প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগের কথা। পৃথিবীতে শেষবারের মতো বরফ রাজত্ব করছে। পৃথিবীর সব পানি জমে জমে জড়ো হয়েছিল মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিল এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বাহামাতে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিল এখনকার চেয়েও আরো ১৫০ মিটার নিচুতে। তখন ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হলো পাথর। আর সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হলো কেভের বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করল, সাগরের পানির উচ্চতাও বাড়তে শুরু করল। পানির নিচে ডুবে গেল সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে পুরো কেভ নেটওয়ার্কই একেবারে পানির নিচে ডুবে গেল। আর তখনই কয়েক জায়গার পাথর ভেঙে সৃষ্টি হলো এই ব্লু হোলগুলো। বিজ্ঞানী দের মতে,এই ব্লু হোল পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। এটি ২০১২ সালে ডিসকভারি চ্যানেলের বিশ্বের সবচেয়ে অভূতপূর্ব জায়গা তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে নেয়।



The Bright Red Lake Natron

২০১১ সাল, নিক ব্রান্ডট নামে এক ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফার এক হ্রদের সামনে গিয়ে চমকে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি দেখেন হ্রদের পাড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পশুপাখির ফসিল - যেন কোনও পাথরের মূর্তি সাজিয়ে রাখা! হ্রদে নামামাত্রই ‘পাথর’ হয়ে যাচ্ছে পশুপাখি! সত্যিই কি সেই হ্রদের এমন রহস্যময় ক্ষমতা রয়েছে? নাকি এটা শুধুই একটা রটনা!

দক্ষিণ আফ্রিকার তানজানিয়ার উত্তর প্রান্তে আছে নেট্রোন নামের লবনাক্ত এই হ্রদ । দৈর্ঘ্যে ৫৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ২২ কিলোমিটার 

রহস্য উন্মোচনে শুরু হয় গবেষণা। জানা যায়, প্রচুর সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে প্রায় ২৬ লক্ষ বছর আগে প্লিসটোসিন যুগে তৈরি হয়েছে নেট্রন হ্রদের তলদেশ। এই হ্রদের জলে সোডিয়াম কার্বোনেট এবং সোডার পরিমাণ অত্যধিক বেশি । পরীক্ষায় আরো জানা যায়, হ্রদের জল অস্বাভাবিক ক্ষারধর্মী (পিএইচ ১০.৫) হওয়ায় ত্বক পুড়ে যায়, তাই স্বাভিকভাবেই পশুপাখির পক্ষে তা অসহনীয়।বছরের বেশির ভাগ সময় হ্রদের জলের তাপমাত্রা থাকে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। আর তলদেশে পড়ে থাকে জলের মতো তরল লাভা। সোডিয়াম ও কার্বোনেটের জন্য হ্রদে জন্ম নেয় সায়োনোব্যাকটিরিয়া নামে অণুজীব। এই অণুজীবের শরীরে লাল রঞ্জক থাকায় হ্রদের জল লাল রঙের হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই রঙেই আকৃষ্ট হয়ে পশুপাখি হ্রদে নামে। কিন্তু জলের অতিরিক্ত ক্ষারধর্মীর জন্য সেগুলোর মৃত্যু হয়। 



The Sailing Stones পালতোলা পাথর

ডেথ ভ্যালি উপত্যকার রেসট্র্যাক প্লায়া নামক জায়গাটির এই রহস্যময় পাথর যেন প্রকৃতির এক বিস্ময়। জনমানবহীন এক বৈচিত্র্যময় জায়গা এটি। সচরাচর কোনো প্রাণীর দেখা মেলে না সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও, এই উপত্যকায় থাকা রহস্যময় পাথরগুলো কোনো এক অজানা কারণে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে বয়ে চলে। চলমান পাথর নামে পরিচিত এই পাথরগুলোকে কেউ নিজের চোখে চলতে যা দেখলেও তাদের চলাচলের অস্তিত্ব দেখা যায়। পূর্বের দিন তারা যেখানে অবস্থান করে পরেরদিন তার থেকে বেশ দূরের অবস্থানে তাদের খোঁজ মেলে। চলার পথে এরা বালুর গায়ে যে ছাপ ফেলে তা থেকেই এদের অবস্থান পরিবর্তনের ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়া যায়। সবচেয়ে মজার দৃশ্য দেখা যায় ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের রেসট্র‍্যাক প্লায়াতে। সেখানের চিত্র দেখলে মনে হবে পাথরগুলো যেন রেস প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আর এই বিরল রেসের কারণেই ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের এই এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে রেসট্র‍্যাক।

হয়ত ভাবছেন মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণী এসের অবস্থান পরিবর্তন করাতে পারে। কিন্তু না, আশেপাশের মাটিতে তাদের কোনো পদচিহ্নের পাওয়া যায় না। সর্বপ্রথম ১৯৪৮ সালে বিশেষজ্ঞদের নজরে এই স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি ধরা পড়ে। কিছু গবেষক মনে করেন, মাটি কর্দমাক্ত থাকা এবং বরফ পড়ে পিচ্ছিল হওয়ার কারণে বাতাসের ধাক্কা লাগে পাথরগুলোর গায়ে। আর তাতেই স্থান পরিবর্তন করে সেগুলো। শেষ অব্দি অবশ্য এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কারণ গ্রীষ্মকালে যখন মাটি একেবারে শুকনো থাকে তখনো এই পাথরগুলো স্থান পরিবর্তন করে। আর এরা এক রাস্তায় যে চলে তাও না বরং প্রতিটি পাথরের চলার পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন ও আলাদা।

আধুনিক স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে রহস্যময় পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তনের প্রমাণ ঠিকই মেলে কিন্তু তার কারণ আজও জানা যায়নি। হয়ত প্রকৃতি কিছু রহস্য রাখতেই ভালোবা



Volcanic Lighting

ফিলিপিন্সের টাল দ্বীপ বরাবরই একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। এর সুন্দর হ্রদের কারণে প্রচুর মানুষ সারা বছর এখানে বেড়াতে যান। কিন্তু টাল দ্বীপেই রয়েছে একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরিও। প্রায়ই যেটির কারণে ভূমিকম্প হয়। ফলে এখানকার মানুষ প্রতিদিন এই ভয় নিয়েই জীবন কাটান। বিষয়টা তাদের জীবনেরই অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ  অগ্নুৎপাত হয়েছে  প্রায় ৪৩ বছর পর।

২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি  এই আগ্নেয়গিরিতে ব্যাপক অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছিল । সোমবার সকাল থেকে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে জনবসতি, রাস্তাঘাটে নেমে আসতে শুরু করেছিল। প্রায় ২০ হাজার  মানুষকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে আসে  ফিলিপাইন সরকার। টাল আগ্নেয়গিরির ধোঁয়া ম্যানিলা থেকেও দেখা যাচ্ছিল,  এমনকি সেখানে ছাই উড়েও আসছিল ।

অনেকেই সেই অগ্নুৎপাতের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। পরে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিলেন । তার মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল , ছাই, ধোঁয়ার মেঘ উঠে যাচ্ছে আকাশে। আর সেখানে গাছ বা গাছের শিকড়ের মতো শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে বজ্রপাত হচ্ছে। প্রথমে দেখলে কোনও হলিউড সিনেমার গ্রাফিক্সের দৃশ্য বলেও মনে হতে পারে। কিন্তু না, সত্যিই এটি ক্যামেরায় ধরা পড়া একটি দৃশ্য।



Ice Disk 

বরফ ডিস্ক , বরফ বৃত্তএকটি খুব বিরল প্রাকৃতিক ঘটনা যা ঠান্ডা জলবায়ুতে ধীর গতিতে জলের মধ্যে ঘটে। এগুলি বরফের পাতলা বৃত্তাকার স্ল্যাব যা জলের পৃষ্ঠের দেহে ধীরে ধীরে আবর্তিত হয়।

একটি নদীতে বাইরের বাঁকে বরফের চাকা  তৈরি হয় এবং গুরতে থাকে,  ডিস্কটি ঘোরার সাথে সাথে এটি চারপাশের বরফের সাথে পিষে যায়  একটি বৃত্তে পরিনত  হয়। এটি অপেক্ষাকৃত অস্বাভাবিক ঘটনা, সর্বপ্রথম  এটি মায়ানাস নদীর উপর   আস্তে আস্তে আবর্তিত হয় এবং সাইন্টিফিক আমেরিকান  1895 সালের  সংস্করণে রিপোর্ট করেছিল  

এটি অস্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা, বরফের ডিস্কগুলি ঠান্ডা আবহাওয়ায় ধীরে ধীরে চলমান পানিতে ঘটে এবং আকারে পরিবর্তিত হতে পারে, যার ব্যাস 15 মিটারের বেশি। এস্তোনিয়ার ভানা-ভিগালার বরফ বৃত্তের ব্যাস 20 মিটারেরও বেশি ছিল বলে জানা গেছে। ওয়েস্টব্রুকের মধ্যে 2019 সালের  জানুয়ারী মাসে  প্রায় 298 ফুট বা (91 মিটারের একটি ব্যাস   উপস্থিত হয়েছিল 




New Island Formation

অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের ১৭০ টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত টোঙ্গার রাজধানী থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে নতুন এ দ্বীপটি জেগে ওঠে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে।

ওই সময় ফুঁসে উঠেছিল সাগরতলের হুঙ্গা টোঙ্গা আগ্নেয়গিরি। এর অগ্নুৎপাত থেকে উদগীরণ হওয়া ছাই, লাভাই পরে থিতু হয়ে পানির ওপরে জমে শক্ত হয়ে ৫শ’ মিটার লম্বা ও আড়াইশ’ মিটার উঁচু এ দ্বীপ সৃষ্টি হয়। কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি পর্যালোচনা করে এমনটিই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

হুঙ্গা টোঙ্গা ও হুঙ্গা হা’আপেই নামের দু’টি পুরনো দ্বীপের মাঝখানে নতুন  দ্বীপটি জেগে ওঠায় এর নাম হয়েছে ‘হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হা’আপেই’।

সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরি ফুঁসে উঠে দ্বীপ তৈরি হওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই হুঙ্গা টোঙ্গা দ্বীপটি এক আশ্চর্য দ্বীপ বলেই অভিমত বিজ্ঞানীদের। কারণ, সাধারণত এমন দ্বীপগুলো কয়েক মাস জেগে থাকে, তারপর তলিয়ে যায় সমুদ্রে। অথচ এ দ্বীপটি টিকে আছে চার বছর ধরে। গত দেড়’শ বছরের ইতিহাসে এত বেশিদিন কোনো দ্বীপ টিকে থাকেনি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এক্ষেত্রে খুব সম্ভবত আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের সঙ্গে সমুদ্রের পানির রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে এটি টিকে থাকার মত বেশি মজবুত হয়েছে। অনেকটা আইসল্যান্ডে ১৯৬০ এর দশকে একইভাবে জেগে ওঠা একটি দ্বীপের মতো।



Abraham Lake আব্রাহাম লেক 

 এটি দেখতে খুবি সুন্দর একটি লেক,এটি সহজেই আপনার মনকে ছুয়ে যাবে। এটি লেক  ইব্রাহীম নামেও পরিচিত  ,এটি  একটি কৃত্রিম হ্রদ  এবং  আলবার্তোর  সর্ববৃহৎ জলাধার। আব্রাহাম হ্রদের প্রস্থ 53.7 কিমি  এবং দৈর্ঘ্য 32 কিমি। আব্রাহাম হ্রদ কিন্তু  প্রাকৃতিক নয়।  1972 সালে উত্তর সাসকাচোয়ান নদীর উপর  বিঘর্ন বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল। এটি সিলাস আব্রাহামের  নামে নামকরণ করা হয়েছিল, যিনি 1800 এর দশকের শেষের দিকে উত্তর সাসকাচোয়ান নদীর উপত্যকায় বসবাস করতেন। বাঁধের পরিকল্পনায় সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাবের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি এবং নির্মাণের পূর্বে কোন জনশুনানি ও অনুষ্ঠিত হয়নি। বিঘর্ন বাঁধ সমভূমিকে প্লাবিত করে এবং সেই অঞ্চলে বসবাসকারী বিঘর্ন স্টোনি আদিবাসীদের জীবিকা বন্ধ করে দেয়। এতে তাদের বারিঘর , কবর এবং চারণভূমি প্লাবিত হয়েছিল। কিন্তু লেক আব্রাহামের খ্যাতির আসল দাবি অধিকাংশ মানুষই গর্ব করবে না: কারন এটি মিথেন গ্যাসের আস্তানা। বরফের নিচে আটকে পড়া মিথেন গ্যাস হ্রদের বরফের নিচে হিমায়িত বুদবুদ তৈরি করে ,এবং  স্থগিত অ্যানিমেশনে বরফের ঠিক নীচে, হ্রদ জমে যেতে শুরু করে। স্বচ্ছ নীল পানির সাথে মিলিয়ে উপরের দিকে  ওঠার সময় হিমায়িত বুদবুদগুলি আব্রাহাম লেককে ফটোগ্রাফার এবং প্রকৃতি পর্যবেক্ষকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য করে তুলেছে।  শীতকালে হ্রদের বরফের আবরণ পরিবর্তিত হয়। এটি সাধারণত ডিসেম্বরের শেষের দিকে জমে যায়। এই কানাডিয়ান হ্রদের বরফের নিচে যে হিমায়িত বুদবুদগুলি তৈরি হয় তাতে একটি ছোট বিস্ফোরণ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত মিথেন থাকে। 


Leave a Comment