আমাদের রহস্যময় পৃথিবীতে রহস্যের সীমা নেই। এর মধ্যে আবার কিছু স্থান বা বিষয় রয়েছে যা অতি-প্রাকৃতিক। আর এ কারনেই এগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে হাজারো রহস্যে ঘেরা। আধুনিক বিজ্ঞানের উৎকর্ষতাও এ রহস্যের কোনো কারণ বর্ননা করতে পারেনি। তাই বিজ্ঞানীরা এগুলোকে অতি-প্রাকৃতিক স্থান বলে অভিহিত করেছেন। চলুন জেনে নিই পৃথিবীর সবথেকে রহস্যময় ৫ টি স্থান  সম্পর্কে।  



 ১। রক্তের জলপ্রপাত 

 অনেক লোক বা বিজ্ঞানী ই এটি চোখে দেখেননি। বা এর কোন ছবিও না, তবে এটি বর্তমানে একদল গবেষক এ্যান্টার্টিকা মহাদেশে গিয়ে এটি দেখতে পান, এবং ছবি তোলেন। তাদের ধারনা ছিলো কোন অনুজীব এর ফলে এমন টা ঘটে, যদিও শূণ্যের অনেক নিচে হিম শীতল আবহাওয়াতে টিকে থাকা অনেক টা অসম্ভব একটা ব্যাপার । বর্তমান ধারনা সেখান কার মাটিতে থাকা অনেক পরিমান আয়রণ ও সালফার এর কারনে পানির রঙ লাল হয়। এটা কিন্তু শুধুই ধারনা, সেই পানি কেন জমে লাল রঙের আইস ক্রিমের মত হলো না সেটার ও কোন  উত্তর নাই। 



২। চম্বক পাহাড়

 নিউ ব্রান্সউইক পাহাড় এর মত উচু থেকে একটা বল বা গাড়ি যাই ছেরে দিলে তা নিচের দিকেই নেমে যাবার কথা কিন্তু উলটো টা হলে মাথায় চিন্তা হওয়া টা স্বাভাবিক। প্রথমে যে কথা টা মাথায় আসবে তা হলো পাহাড়ে মনে হয় চুম্বক আছে কিন্তু এরকম কেনো হয় সেটা আজ পর্যন্ত কেউ ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এর আকর্ষন বেশ জোরালো ছিলো, রহস্যময় কারনে তা কমে যায় এর পর। প্রচলিত আছে ঘোড়ার গাড়িও টেনে নিতো উপর দিকে এই পাহাড়। এটি অবশ্য একটা পপুলার টুরিস্ট স্পট এখন।  



৩। বজ্রপাত

বজ্রপাত সবাই ই চিনি, যাদের প্রেমিকা ভয় পান, তারা মনে একটু বেশী চিনি। আমাদের দেশে বছরে কতদিন আর এর দেখা পাই , দেখতে হলে তো যেতে হবে ভেনিজুয়েলা তে। এখানে বছরে ২০০ দিনের ও বেশী সময় বজ্রপাত হয়। কখনো কখনো মিনিটে ২৫ বার এর ও বেশী বার বজ্রপাত হয়ে থাকে। এখানে প্রতি স্কয়্যার কিলোমিটারে প্রতিবছর গড়ে ২৫০ বার বজ্রপাত হয়,  চিন্তা করে দেখুন একবার। কিন্তু এত যায়গা থাকতে এখানেই কেনো এর কারন কেউ জানে না। 



৪।মাউন্ট রোরাইমা

 মাউন্ট রোরাইমা সমতল শীর্ষ বিশিষ্ট পর্বতমালা যার স্থানীয় নাম টিপুই। খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময় টিপুই, এমনকি শুকনো মৌসুমেও মেঘে ঢাকা থাকে। এই পবর্তমালা প্রথম আলোচনায় আসে ১৫৯৬ সালে। ৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এর অবস্থান আর  চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। কিন্তু একমাত্র ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়। এই অপূর্ব সুন্দর পবর্তটি বছরের বেশিরভাগ সময় মেঘে ঢাকা থাকে, যেন এক স্বর্গ রাজ্য!  



৫। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি।


Leave a Comment