বন্ধুরা আপনারা অনেকেই হয়তো অনেক গাড়ি দেখেছেন কিন্তু যদি আমি আপনাদেরকে বলি যে এমন কিছু গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে যার মধ্যে বসলে আপনি মনে করবেন আপনি অন্য কোন দুনিয়ায় চলে এসেছেন.।।  তাহলে আপনারা কি বলবেন?  হ্যাঁ বন্ধুরা আমি ঠিকই বলছি টেসলা কোম্পানির উন্নতির পরে অন্য সব কোম্পানি ফিউচার গাড়ি বানানোর কাজে লেগে পরেছে এবং তারা কিছু কনসেপ্ট কার লঞ্চ করেছে যেগুলো দেখার পরে আপনি চিন্তায় পড়ে যাবেন, যে এমন গাড়ি কিভাবে বানানো সম্ভব সেটা হতে পারে আকাশে ওড়া গাড়ি এবং এমন রোবট গাড়ি যার চলার ধরন ঠিক রোবটের মত। শুধু এটাই নয় এই ব্লগে আপনি এমন কিছু গাড়ি দেখবেন যেগুলো দেখলে আপনি গাড়িগুলোর প্রেমে পড়ে যাবেন।আর আপনি মনে মনে ভাববেন ইস গাড়ি গুলো যদি আমার কাছে থাকতো। তো গাড়ি গুলো দেখার জন্য আপনি আমাদের এই ব্লগে শেষ পর্যন্ত থাকুন



1 Bell nexus

বন্ধুরা যদি আপনাদের আসমানের উচ্চতা পছন্দ হয় তাহলে পুরোপুরিভাবে তৈরি হয়ে থাকুন কারণ এই গাড়ি আপনার সেই আশা পূরণ করবে।  এই গাড়িটি এজন্য বানানো হয়েছে যে আপনি এক শহর থেকে আর এক শহরে যেতে পারবেন কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।  সহজ করে বলতে গেলে এ কে আপনি ফ্লাইং ট্যাক্সিও বলতে পারেন।  যা আপনাকে খুব সহজে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে তাও আবার উড়তে উড়তে।  এই গাড়িটি হেলিকপ্টারের মতই  কিন্তু হেলিকপ্টারের মতো আওয়াজ হয়না।  তার উপরে আবার হেলিকপ্টারের থেকেও অনেক সুরক্ষা পাবেন আপনি, এটা আপনাকে ২৪০ কিলোমিটার গতিতে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এবং এতে ভালোভাবে সাড়ে চারশ কেজি ওজন বহন করতে পারে।  সেই হিসাবে  দেখা যায় তিন থেকে চারজন নরমাল লোক ভালোভাবেই এই গাড়িতে বসে যেতে পারবে।  এই গাড়িটি ২০২০ সালের মডেল, কিন্তু বর্তমানে এই গাড়িটি আরো নতুন করে মডিফাই করা হচ্ছে কারন পরবর্তীতে যে গাড়িটি আসবে সেটার সাইজ অনেকটাই কমে আসবে এবং আরো অনেক সহজে যাতায়াত করা যায় সেই সুবিধাও থাকবে।



2 BMW VISION M NEXT

বন্ধুরা প্রথমে আপনার বিএম ভিশন নেক্সট টাকেই দেখে নিন,  এই গাড়িটা অনেক প্রশ্নের মুখে তৈরি করা হচ্ছে, কারণ মানুষের মনে সবসময় একটা প্রশ্ন আছে যে ডিজিটাল টেকনোলজি আমাদের ড্রাইভিং এর উপরে কি রকম প্রভাব ফেলে?  তো যাদের মনে এরকম প্রশ্ন আছে তাদের জন্য এই গাড়িটি বানানো হয়েছে। এই গাড়িতে বসে কোথাও গেলে আপনার ট্রিপ আরও এক্সাইটিং এবং সুন্দর হবে। কারণ গাড়ির ডিজাইন টি করা হয়েছে বিএমডব্লিউ টার্বো এবং বিএমডব্লিউ ওয়ান এইট গাড়ির ডিজাইন এর মত করে।  এই গাড়ির ইন্টারনাল সিস্টেম আপনাকে  চলার পথে এসিস্ট করতে থাকবে এবং সেই সাথে গাড়ির ভেতরে থাকা প্রত্যেকটি জিনিসের আপডেট টাইম টু টাইম আপনাকে দিবে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট।  এই গাড়িটির সেফটি হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ফেস ফ্রেশ আনলক, যাতে অন্য কেউ গাড়িটি ব্যবহার করতে না পারে। এই গাড়ির কনসেপ্টে ১৮ মাস সময় দেওয়ার পরে গাড়ি গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে,  এজন্যে গাড়িটি দেখতে এত সুন্দর ,এই গাড়িটি মাত্র তিন সেকেন্ডে 100 km গতি তুলতে পারে।



3 HYUNDAI ELEVATOR

 ২০১৯ সালে এই গাড়িটি যখন প্রথম মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় তখন লোকেরা এটা দেখে অবাক হয়ে যায়।  কারণ এই গাড়িটিতে রোবটের টায়ার ফিট করা হয়েছে যার কারণে এই গাড়িটি তখন চলে তখন মনে হয় যেন রোবট চলছে। আর  এই কারণে এটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং ব্যবহারেও বেশ উপযোগী।  কারণ এর কারণে আপনি যে কোন রাস্তা দিয়ে যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন।  সাধারণ গাড়ি যেখানে যেতে পারবেনা এই গাড়িটি নিয়ে সেখানে আপনি আরামসে যেতে পারবেন।  আর এই কারণেই এই গাড়িটি আমাদের কাছে কোন জাদুর থেকেও কম নয়।  




4 Ds AERO SPORT LOUNGE

বন্ধুরা এই গাড়িটি দেখে নিন এটা শুধু ইউনিকই নয় বরং আরো আপনাকে অবাক করবে।  এই গাড়িতে ৬৮০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।  যার কারণে এটি 2.8 সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার গতিতে উঠতে পারেএ।  এবং এতে ১১০ কিলোওয়াট এর ব্যাটারি সেট করা হয়েছে,  যা একবার চার্জ করলে ভালোভাবেই ৬৫০ কিলোমিটার চলবে।  বন্ধুরা এই গাড়িটি বাইরে থেকে দেখতে একেবারে সাধারন গাড়ির মতই লাগবে কিন্তু ভেতরটা আপনাকে অবাক করবে।  এই গাড়ির ভেতরে একটি ইউনিক ড্যাশবোর্ড রয়েছে যে ড্যাসবোটে একটি ডিজিটাল স্ক্রিন রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি গাড়িটির পুরো ইনফরমেশন নিতে পারবেন।



5 THE  BEE

বন্ধুরা বর্তমান সময়ে অটোমেটিক ইলেকট্রিক ট্যাক্সি খুব বেশি পপুলার হচ্ছে কারণ এগুলো দেখতেও ভালো এবং যাতায়াতেও খুব আরাম।  এই গাড়ির সাধারণ এক্সাম্পল হিসেবে এই THE  BEE গাড়িটি দেখে নিন,  বন্ধুরা এই অটোমেটিক ভাইকেল খুবই এডভান্স লেভেলের হয়।  বন্ধুরা এই গাড়িটি ইকোনোমি আর ইকোলজি ব্যালেন্স সিস্টেম ঠিক রেখে তৈরি করা হয়েছে।  এই গাড়িটিতে যাতায়াত খরচও কম হবে,  এই গাড়িটি বড়ই আরামের সাথে আপনাকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।  এই গাড়িটি ব্যবহার করা খুবই সহজ এটাতে এক থেকে দুইজন মানুষ ভালোভাবেই যেতে পারে।



6 CITROEN 19.19

এই গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে কাস্টমারদের কমফোর্টেবল এর জন্য।  এই গাড়ি দেখতে যতটা সুন্দর এর ভেতরে ট্রাভেল করাটা তার থেকেও বেশি আরামদায়ক।  এই গাড়িটির ভেতরে বসে থাকলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে গাড়িটি চলছে কিনা।  কোন রকম ঝাকা লাগে না এই গাড়িতে বসে থাকলে

এই গাড়িটি ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।  তার সাথে এই গাড়ির ভিতরে একটি ইলেকট্রিক অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকবে। যা আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে এবং আপনার গন্তব্য পৌঁছাতে সাহায্য করবে।  সব থেকে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি ড্রাইভিং করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান তবে আপনি এই গাড়িটিকে অটো পাইলট মোডে অন করে রেখে আরামসে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন, গাড়িটি আপনাকে নিজে ড্রাইভিং করে আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।



7 MIMIC

বন্ধুরা এখন আপনারা খুবই চমৎকার এই ভাইকেলটি দেখে নেন।  এই ভাইকেলটি রাশিয়ান গাড়ি ডিজাইনার roman dilcenko ডিজাইন করেছেন।  তিনি এমন একটি গাড়ি বানাতে চেয়েছিলেন যেটি দেখে যে কেউ গাড়িটির প্রেমে পড়ে যাবে। আর সেটা ভেবেই এই গাড়িটি তৈরি করা হচ্চে।  এই গাড়িটি দেখতে পুরো মোটরসাইকেলের মতোই, এই গাড়িটী  এখনো পুরো তৈরি করা হয়নি শুধুমাত্র এই গাড়িটির এখন ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।  আশা করি এই গাড়িটি যখন বাজারে আসবে তখন পুরোবাজার কাপিয়ে তুলবে। এই গাড়িটি দেখতে কেমন হতে পারে সেটাই অপেক্ষা একন।



8 MERCEDES VISION AVTR

নেট দুনিয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নতুনত্বের সন্ধান পেয়ে থাকি । ভিশন অবতার একটি আলাদা ধরনের কনসেপ্ট কার বাস্তবায়িত করেছে এই কোম্পানি । Mercedes-Benz এবং Avatar  দুই কোম্পানি মিলে তৈরী করেছে এই গাড়ীটি,  যা দেখে চমকে গেছে বিশ্ব ।

এই গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতা ৪৬৯ হোয়ার্স-পাওয়ার, রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির - ১১০ কিলোওয়াট বেটারী।  এই বেটারী চার্জ হতে সময় নিবে ১৫ মিনিটের থেকেও কম। শুধু তাই নয় একবার পুরো চার্জ করলে সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে এই গাড়ি।

 

Leave a Comment