বন্ধুরা আমাদের চারিপাশে যে সমস্ত প্রজাতির গাছ আছে তাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক প্রজাতির গাছের কথাই আমরা জানি। গাছের এমন অনেক প্রজাতি আছে যেগুলোকে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, বিঞ্জানীরাও আজ পর্যন্ত বের করতে পারে নি।
আজ আমরা এই ব্লগে এমন অদ্ভুত কিছু গাছ দেখাবো যেগুলো দেখে আপ্ নার হুশ
উড়ে যাবে।
1) Titan Arum
এই গাছটিকে সাধারণ মানুষ “লাশ গাছ” নামে চেনে। এই
গাছটি ইন্দোনেশিয়া ও মালোয়েশিয়ার রেইন ফরেস্টে দেখা যায়। এই গাছ থেকে অদ্ভুত একটি গন্ধ
বেরোয় যার গন্ধ লাশের গন্ধের মতো, তাই এই গাছের নাম হয়ে গেছে লাশ গাছ। এই গাছের ফুল
৮-১০ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয় যা দেখতে খুবী আকর্ষনীও হয়। এই গাছের ফুল ১০ বছরে শুধু একবারই
কিছু ঘন্টার জন্য ফোটে। এই গাছের গন্ধের জন্য এই গাছের প্রতি বিভিন্ন পোকামাকড় আকর্ষিত
হয়।২০০৩ সালে জার্মানির বোটানিকাল গার্ডেনে এই প্রজাতির সবচেয়ে লম্বা ফুল ফুটেছিল যার
উচ্চতা ছিল ৮ ফিট ১১ ইঞ্চি।
2) Hydnora Africana
আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চলে এই গাছ দেখা যায়। এই গাছের আকৃতি অনান্য গাছের
চেয়ে একদমই আলাদা রকমের। এই গাছের থেকেও একধরনের পচা গন্ধ বের হয় যা পোকামাকড় কে আকৃষ্ট
করে এবং পোকামাকড় এই গাছে বংশ বিস্তার করে। এই গাছের মূল অংশ মাটির নীচে থাকে। শুধু
লাল ফুল মত অংশ টুকু মাটির ওপরে থাকে। এই গাছের ফল মাটির নীচে হয়, যার স্বাদ আলুর মতো।
3) Raffiesia Arnoldii
এই গাছের সবচেয়ে আকর্ষনীয় জিনিস হচ্ছে এই গাছের ফুল। এই গাছের ফুলকে
পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো ফুল মনে করা হয়। এই গাছের ফুল দেখতে অদ্ভুত রকম সুন্দর হয়। ১৯৯৩
সালে ইন্দোনেশিয়াতে এই ফুলকে দূর্লভ ফুলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই গাছটি একটি পরজীবী
গাছ যেটি অন্য গাছের ওপর নির্ভর করে বড়ো হয়।
4) Randia Dumetorun
আপনি কি কখনো শুনেছেন গাছের কাতুকুতু লাগে? শোনেননিতো! তবে শুনুন, এই
গাছকে কাতুকুতু দিলে এই গাছের ডালপালা নড়ে ওঠে। উওরাখন্ডের কালাধুঙ্গি জঙ্গলে এইরকম
দুটি গাছ আছে যাদের শরীরে আলতো ভাবে হাত বোলালে গাছের অদ্ভুত আচরণ আপনি দেখতে পাবেন।
রামনগর জঙ্গলেও এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এইরূপ আচরণের জন্য এই গাছকে কাতুকুতু গাছও
বলা হয়ে থাকে। অনেক বিঞ্জানী এর ওপর গবেষণা করেও এর কারন বের করতে পারেনি।
5) Dancing Plant
আপনি গান শুনলে নাচতে শুরু করেন? করতেও পারেন বা নাও করতে পারেন। তবে
এখন আমি যে গাছের সমন্ধে বলতে যাচ্ছি সে গাছ মিউজিক শুনলে নাচতে শুরু করে। এই গাছ প্রায়
১২০ সেন্টি মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
6) Stone Plant
এখন যে গাছটির কথা বলবো সেটি হলো পাথর গাছ। আপনি প্রথমে দেখলে বুঝতে
পারবেন না এটি পাথর না গাছ। সাধারণত তৃণভোজী প্রাণীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে এই গাছ
নিজেদের এভাবে তৈরি করেছে। এই গাছ সাউথ আফ্রীকার মরুভূমি অঞ্চলে পাওয়া যায়।
7) Nepenthes Attenboroughii
এই গাছটিকে আমরা কলসপত্রী গাছ হিসেবে জানি। এই গাছ দেখতে অনেকটা কলসির
মতো হয় যার মাথায় একটি ঢাকনার মত থাকে। বিভিন্ন পোকা মাকর এই গাছের রংএ আকর্ষিত হয়ে
এই গাছের কলসের ভেতরে ঢুকে যায় এবং ভেতরে থাকা তরল পদার্থে আটকে যায়। এই গাছ সেই সমস্ত
জীব থেকে রস শোষন করে।
Leave a Comment