বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় ৪টি আইডেন্টিক্যাল টুইন্স কেস
Satish and Sabarish
মালয়েশিয়ার সবচেয়ে রহস্যময় কেস গুলোর একটি সতীশ এবং সাবারিশের
কেস।
এটি এমন একটি কেস যা পুরো মালেশিয়াবাসীকে হতভম্ব করে দেয় এবং এই কেসটিতে দুই ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও তারা দুই ভাই মৃত্যুদণ্ড এড়িয়ে যায়। তারা এমন একটি অপরাধ করেছিল যার শাস্তি শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডই হতে পারে কিন্তু আদালত তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
২০০৩ সালে মালেশিয়ার পুলিশ একজনকে হাতে নাতে ১৬৬ কেজি গাঁজা এবং দুই
কেজি কাঁচা আফিম বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার করে
পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে
জানতে পারে যে তারা দুই ভাই আইডেন্টিক্যাল টুইন্স
তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের দুই ভাইকে এক কামরায় বন্দি করে এবং সেখানে তারা নিজেদের ভিতরে কি কথাবার্তা বলছে সেটা রেকর্ড করে। যাতে পুলিশ বুঝতে পারে কোন ভাই অপরাধী কিন্তু তাদের সেই কথাবার্তা শোনার পরেও পুলিশ বুঝতে পারেনি আসলে কোন ভাই অপরাধ করেছে
পুলিশ কোটে কোনভাবে প্রমাণ করতে পারেনি যে কোন ভাই প্রকৃত অপরাধী। তাই একজন নিরপরাধ লোককে যাতে শাস্তি না পেতে হয় তার জন্য পাঁচ বছর পরে এই কেসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গ্রেফতারের পাঁচ বছর পর যমজরা উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস করে দেয়।তারা সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত হওয়ার পর দুই ভাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল কিন্তু এই দুই ভাইয়ের ভেতরে কে অপরাধী ছিল সেটা আজও রহস্য হয়ে থেকে গেছে অনেক লোক এই দুই ভাইকে বুদ্ধিমান অপরাধী বলেছে।
Tyrone and Jerome Cooper
মিশিগানে, 1999 সালে , দুই ভাইকে 18
বছর বয়সী এক মহিলার মাথায় আঘাত করার এবং তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা
হয়েছিল। উভয়
ভাই, টাইরন এবং জেরোম কুপারের অপরাধমূলক রেকর্ড আগে থেকেই রয়েছে. তারা মেয়েটিকে ধর্ষণ করার কথা অস্বীকার করে। পুলিশ
ভেবেছিল যে অপরাধী সে অন্য ভাইকে বাঁচানোর জন্য আত্মসমর্পণ করবে কিন্তু তারা কেউয়ে
দোষ স্বীকার করেনি। এরপর তাদের ডি এন এ পরিক্ষা এবুং ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরিক্ষা করা
হয় । কিন্তু দুই ভাইয়ের রেজাল্ট একই আসে
তখন পুলিশ তাদের দুই ভাইকে একটি কক্ষে রাখে যেন তারা ঘটনাক্রমে সত্যটি বের করে
দেয়, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি কারণ তারা কেবল ছোট ছোট কথাবার্তায় লিপ্ত ছিল। আজও পর্যন্ত, মেয়েটির বিচার হয়নি
কারণ কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেনি কোন ভাই প্রকিত ধর্ষক ছিল।
Orlando and Brandon Namebird
অরল্যান্ডো এবং নেমবার্ডের বিরুদ্ধে 19 বছর বয়সী স্যার জেভিয়ার ব্রুকসকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। 12 ফেব্রুয়ারী 2011 তারিখে অ্যারিজোনার একটি নাইটক্লাবের বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।সেই কেসে আসামীর আইনজীবী যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে হত্যাকারীর পরিচয় ভুল হতে পারে।
আইনজীবী বলেন যে দুই ভাইয়ের যে কেউ হত্যাকারী হতে পারে, একথা বলে আইনজীবী
মামলায় ফাটল তৈরি করেছিলেন। যদিও ব্র্যান্ডনের
কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই কিন্তু অরল্যান্ডোর একটি দীর্ঘস্থায়ী অপরাধমূলক রেকর্ড
রয়েছে - তবে মামলাটি অমীমাংসিত রয়ে গেছে কারণ সব ধরনের পরিক্ষা করেও কোন কাজ হয়নি।
তারা জিনগতভাবে ভাইদের আলাদা করতে পারেনি।
Elwin and Yohan
2012 সালে, ফ্রান্স মার্সেইতে ছয়জন মহিলার ধর্ষিত হওয়ার মর্মান্তিক
খবরে জেগে ওঠে পুরো
ফ্রান্সবাসি
এই কেসটিতে পুলিশ এলউইন এবং ইয়োহান নামে দুই যমজ ভাইকে গ্রেফতার করে।ভুক্তভোগীদের একজনকে যখন অপরাধীকে শনাক্ত করতে বলা হয়েছিল, তখন তিনি যমজ ভাইদের মধ্যে কে রেপ করেছে সেটা শনাক্ত করতে পারেননি।
তাই পুলিশ তাদের দুই ভাইকেই হেফাজতে নেয়, কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হল যে তারা উভয়েই অপরাধ অস্বীকার করেছিল এবং একে অপরকে একটুও দোষ দেয়নি। যেহেতু দুই ভাইয়ের প্রায় একই ডিএনএ ভাগ করে, তাই প্রসিকিউটররা বলছেন যে কোন ভাই ধর্ষক, বা তারা দুজনেই জড়িত ছিল কিনা তা নির্ধারণ করার তাদের কোন উপায় নেই
Leave a Comment